কিভাবে সহজে মোবাইল কেসের ব্যাবসা শুরু করা যায়
একবিংশ শতকে যে সমস্ত অত্যাধুনিক জীবনযাত্রার সামগ্রী আমাদের জীবনের অপরিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন সামগ্রী হল মোবাইল ফোন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বর্তমানে পৃথিবীতে জীবিত মানুষের চেয়ে সচল মোবাইল ফোনের সংখ্যা বেশি। সেই কারনে এই অপরিহার্জ সমগ্রীকে ঘিরে সারা বিশ্বে এক বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে যেখানে মোবাইল ফোনের সাথে ব্যাবহার করা যায় এমন বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। আর এই ব্যাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পন্য হোল মোবাইল কেস।
আমরা যে সমস্ত মোবাইল ফোন ব্যাবহার করি তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাত থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে জাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই জন্যে আমরা এমন কিছু খুজি যা ব্যাবহার হরে আমরা আমাদের মোবাইল ফোনকে বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারি। আর এই চাহিদা আমার আপনার মত সারা বিস্বের আর অনেক মানুষ পোষণ করে থাকেন। তাই আপনি যদি নিজের একটি নতুন ব্যাবসা শুরু করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন, তবে আপনি মোবাইল কেসকে আপনার পন্য হিসেবে বেছে নিতে পারেন। আর বর্তমানে মোবাইল এবং মোবাইল সংক্রান্ত অন্যান সামগ্রির চাহিদা এতটাই বেশি যে আপনি যদি এই ব্যাবসা শুরু করেন, তবে আপনি খুবই সহজে এই বিশাল বিস্বব্যাপি বাজারের ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন এবং সেই ক্রেতাদের কাছে আপনার পন্য বিক্রয় করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। তবে তার আগে আপনাকে এই ব্যাবসা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাই আসুন, সময় নষ্ট না করে আমরা এই বিষয়ে যাবতীয় তহ্য জেনে নিই।
মোবাইল কেস সংক্রান্ত দু- এক কথা
মোবাইল কেসের ব্যাবসায় আপনি যদি অবতীর্ন হতে চান, তবে আপনাকে আগে মোবাইল কেস সম্মন্ধে জানতে হবে। মোবাইল কেস এর প্রাথমিক লক্ষ হল আপনার মোবাইলকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করা। তবে বর্তমানে মোবাইল কেসকে কেউ কেউ নিজের মোবাইলের সৌন্দর্জ বৃদ্ধির জন্য ব্যাবহার করে থাকে। তাই আপনি যদি নিজের মোবাইল কেসের ব্যাবসা শুরু করতে চান, তবে আপনাকে আগে এই দুই প্রকার মোবাইল কেস সম্পর্কে জানতে হবে।
১)প্রথমে আমরা সেই সমস্ত মোবাইল কেসের কথা বলব যা সাধারণত মোবাইলকে আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যাবহার হয়। এই ধরনের মোবাইল কেস খুবই সাধারণ দেখতে হয়। তবে এই কেসগুলি বানান হয় এমন কোন পদার্থ দিয়ে যা মোবাইলকে বাইরের আগাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও কখনো কখনো এই কেসগুলির বাইরের স্তরের ভিতরে আর একটি করে তুলো বা ফোমের স্তর থাকে। এই স্তর বাইরে থেকে আসা সমস্ত রকমের আঘাতকে প্রতিহত করতে সহায়তা করে। অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতে পারে য আপনি যদি এই ধরনের মোবাইল কেস ব্যাবহার করেন, তবে আপনার মোবাইল খুব সহজে ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।
২)এবার আমারা দ্বিতিয় ধরনের মোবাইল কেসের কথায় আসব যা মূলত আপনার মোবাইলের সৌন্দর্জ বৃদ্ধির জন্য ব্যাবহার হয়। এই ধরনের মোবাইল কেসে সাধারণত কোন বিশেষ নকশা, ছবি অথবা কোন লেকা দেখা যায়। এই সমস্ত উপাদানগুলি মোবাইল কেসটিকে আরও সুন্দর ও আকর্শনীয় করে তুলতে সাহায্য করে। এই ধরনের মোবাইল কেস এমন উপাদানে তৈরি হয় যা মোবাইলকে বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষাও করবে আবার তাতে কোন নকশা বা লেখা ফুটিয়ে তোলার জন্য সহজ হবে।
মোবাইল কেসের ব্যাবসার প্রথমিক পদক্ষেপ
মোবাইল কেসের ব্যাবসা শুরু করতে গেলে কিছু বিশেষ প্রাথমিক পদক্ষেপ আপনাকে নিতে হবে। আর এই প্রাথমিক পদক্ষেপগুলির কোন একটিও যদি আপনি অনুসরন না করেন, তবে টা আপনার জন্য পরবর্তীকালে বিশেষ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।তাই আসুন আমরা একে একে এই পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে জেনে নিই।
১)পন্য নির্বাচন-
মোবাইল কেসের ব্যাবসার মুল পন্য হল মোবাইল কেস। তবে আপনি নিজের ব্যাবসার জন্য কোন ধরনের কেস ব্যাবহার করতে ইচ্ছুক, সেই বিষয়ে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনার কাছে উপায় আছে দুটি। এক, এমন মোবাইল কেস বিক্রয় করুন যা মুলত আপনার মোবাইলকে রক্ষা করবে ও দুই, এমন মোবাইল কেস বিক্রয় করুন যা আপনার মোবাইলকে আরও চিত্তাকর্সক দেখাতে সাহায্য করবে। তবে এ ছাড়াও বর্তমানে আরও একধরনের মোবাইল কেস দেখা যাচ্ছে। এই ধরনের কেসে এমন উপাদান ব্যাবহার করা হয় যা একদিকে শক্তিশালী, আবার অন্যদিকে তাতে কোন নকশা ফুটিয়ে তোলা সহজ। আপনি ব্যাবসা শুরু করার আগে আপনাকে এই তিন ধরনের পন্যর মধ্যে থেকে জেকননেক্তিকে বেছে নিতে হবে এবং সেই পন্য নিয়েই ব্যাবসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে হবে।
২)সর্বাধুনিক মোবাইলের কেস-
মোবাইল ফোন হল এমন একটি পন্য যা প্রতিদিনে নতুন রুপে এবং উন্নত প্রজুক্তিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাই আপনি যখন মোবাইল কেসের ব্যাবসা শুরু করতে চান, তখন আপনাকে এমনভাবে প্রস্তুত হতে হবে যাতে সকল প্রকার অত্যাধুনিক মোবাইলের কেস আপনার কাছে সর্বদা মজুত থাকে।
৩)বিক্রয়ের মাধ্যম-
আপনি যখন কোন ব্যাবসা শুরু করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন, তখন আপনাকে এই বিশয়েও চিন্তা করতে হয় যে আপনি আপনার পন্য বিক্রয় কিভাবে করবেন। এই প্রস্নের উত্তর হিসেবে আপনার কাছে তিনটি বিকল্প আছে। প্রথম হল সাধারণ কোন দোকানে আপনার পন্য বিক্রয় করা। দ্বিতিয় হল ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে কোন বিখ্যাত ই কমার্স ওয়েবসাইটের সাহাজ্যে নিজের পন্য বিক্রয় করা, এবং তিন নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে এই পন্য গুলি বিক্রয় করা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজস্ব কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। তবে আপনাকে এর মধ্যে থেকেই কোন একটি মাধ্যম বেছে নিয়ে ব্যাবসা শুরু করতে হবে।
মোবাইল কেসের ব্যাবসার সুবিধা
মোবাইল কেসকে কেন্দ্রিয় পন্য হিসেবে রেখে যদি আপনি ব্যাবসা শুরু করেন, তবে আপনি বেশ কিছু এমন সুবিধা পেয়ে জান যা অন্য ব্যাবসায় পাওসা অসম্ভব। আসুন সেই সস্ত সুবিধা গুলির কথাই জেনে নেওয়া যাক।
১) যেহেতু এই ব্যাবসা মোবাইল ফোনসঙ্ক্রান্ত বাজারের সাথে জরিত, তাই এই ব্যাবসায় আপনার পন্যের চাহিদা চিরবর্ধ্মান হবে ।
২)যেহেতু পন্যগুলি আকারে অনেক ছোট, তাই আপনি খুব সহজেই এই পন্য গুলিকে নিজের ব্যাবসার সার্থে সংরক্ষন করতে পারেন
৩)আপনি ইচ্ছে করলে এই ব্যাবসা একই সাথে অনলাইন এবং অফলাইন বাজারে শুরু করতে পারেন।
মোবাইল কেস ব্যাবসার অসুবিধা
সুবিধা যেমন কিছু আছে, তার পাসাপাসি রয়েছে বেশ কিছু অসুবিধাও। এবং এই অসুবিধা বা সমস্যাগুলি এমনই যে তা মোবাইল কেসের ব্যাবসা ছাড়া অন্য কোন রকম ব্যাবসায় দেখা যায় না। তাই আপনি যদি এই ধরনের ব্যাবসা শুরু করতে ইচ্ছুক হন, তবে সুবিধাগুলির পাসাপাসি অসুবিধা গুলি সম্পর্কেও আপনার জেনে নেওয়া দরকার।
১) এই ব্যাবসায় যেহেতু ক্রেতার ব্যাতিগত পছন্দের ভিত্তিতে পন্য বিক্রয় করতে হয়, তাই তাদের প্রয়জনে একবারে অনেক বেশি পন্য মজুত করে রাখতে হয়।
২)মোবাইল ফোন হল এমন একটি দ্রব্য যা প্রতিদিন আরও বেশি উন্নত হয়ে চলেছে। তাই এই ঘটনা একাধিকবার ঘটতে পারে যখন আপনি কোন বিশেষ মোবাইলের একাধিক কেস মজুত করলেন এবং সেই সময়ই সেই ফোনটির বদলে অন্য কোন আরও নূতন ফোন বাজারের কেন্দ্রস্থান দখল করে নিল। এইরকম সময়ে আপনার মজুত করা পন্য বিক্রয় হওয়ার সম্ভাবনা অনে কমে যায়।
উপরে আমরা আপনাদের মোবাইল কেসের ব্যাবসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিলাম। এই সকল তথ্য আপনাকে আপনার নিজস্ব ব্যাবসা শুরু করার সময়ে সাহায্য করবে। তাই এই তথ্যগুলি ভালো করে দেখুন এবং মনে রাখার চেষ্টা করুন। তারপর এই তথ্যগুলর ভিত্তিতে আপনার নিজস্ব ব্যাবসা গড়ে তুলুন যা আপনাকে প্রচুর পরিমানে অর্থ উপার্জনে সাহায্য করবে।