সেরা ৫০ টি হস্তশিল্প ব্যাবসায়িক আইডিয়া
এখনকার দিনে হস্তশিল্প একটি অন্যতম ব্যবসা। শহর থেকে গ্রাম বহু মানুষ বহু রকম হস্তশিল্পের কাজে নিযুক্ত।এভাবে যেমন একদিকে মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে তেমনি ঘর গৃহস্থালী সাজানোর কাজেও এই গুলি পারদর্শী। হস্তশিল্পর একটি সুবিধা জনক দিক হলো শুরু করতে বেশি টাকা খরচ করতে হয় না আবার অল্প কিছু জায়গার মধ্যে তা উৎপাদন ও করা যায়। তবে আজ বেশি কথা না বলে চলে যাবো এমন কিছু সেরা বুদ্ধিদীপ্ত আইডিয়া তে যেগুলো তুমি নিজে তৈরিও করতে পারবে আবার বিক্রি করে তা থেকে ইনকাম ও করতে পারবে।
হার চুড়ি তৈরী
তুমি হার চুড়ি তৈরী করতে পারো। শুধু মাত্র দেশ নয় দেশের বাইরেও এই বিশেষ জিনিসগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী। অনেকরকম ভাবে এগুলো তৈরী করা যায় ।যদি তোমার আইডিয়া থাকে তবে তুমিও শুরু করতে পারো।
পুতুল তৈরী
সফ্ট টয়স বা বিভিন্ন ভঙ্গিমায় বসা এবং দাঁড়ানো পুতুলও অনেক মানুষ তাদের শিশুদের জন্যে বা উপহার হিসাবে খুব পছন্দ করেন। শুধু তুলো, কাপড় এবং একটু বুদ্ধির সাহায্যেই তৈরী করে ফেলা যে রংবেরঙের খেলনা জাতীয় পুতুল।
পাঁপড় তৈরী
ছোট থেকে বড়ো পাঁপড় খেতে কে না ভালোবাসে? আমাদের রোজকার মেনুতেও পাঁপড়ের অবদান আছে। বেশি না ভেবে এই ব্যাবসাও শুরু করতে পারো।
প্লাস্টিকের ফুল তৈরী
ফুলের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরদিনের তাই ঘর সাজানোর জন্যে বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন রঙের ছোট বড়ো ফুল বাজার থেকে কিনে থাকি। হতেও পারে সেগুলো তুমি তোমার ঘরে বসে তৈরী করছো।
পাপোষ বা কার্পেট তৈরী
সবার ঘরেই পাপোস দরকার হয়। আর যখন সেটা হাতে তৈরী একটি বিশেষ আকার পাবে তার দামই আলাদা। এসব জিনিস ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে।
হালকা কাঠের সরঞ্জাম
যতই অন্যান্য উপাদান বাজারে চলুক কাঠের জিনিসের দাম আজও অমলিন। তাই ছোট ছোট মুখোশ থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর জিনিস বা ফটো ফ্রেম সবই তৈরী করতে পারো। আশা করি তুমি লেভার মুখ ই দেখবে।
কাঁথাস্টিচের ড্রেস মেটেরিয়াল
ব্লাউস হোক বা সাড়ি কাঁথাস্টিচ এখনকার দিনে বেশ উপরের সারিতে। শুধু চাই একটু ধৈর্য র রং বেরঙের ডিসাইন।
ঠাকুরের ছাঁচ তৈরী
সারাবছরই যেহুতু কিছু না কিছু পুজো হয়েই থাকে ছাঁচের দরকার সেখানে লাগেই। আঠা কাপড় কাগজ এগুলো তো খুব সহজে বাজারে পাওয়া যায় তুমি শুরু করতেই পারো।
মাটির তরি তরকারি
শিশুদের কাছে মাটির তরি তরকারি খুব আকর্ষণীয় বস্তুলোর মধ্যে একটা। তবে বড়োরাও ঘর সাজানোর জন্যে এগুলো কিনে থাকে।
ঠাকুর দেবতার ছোট প্রতিমা
বাড়িতে অনেকরকম ঠাকুর দেবতা রাখা অনেকেরই শখের মধ্যে পরে। আর সারাবছর বড়ো প্রতিমা পুজো করা সম্ভব ও নয়। তাই ছোট প্রতিমার চাহিদা বেশ ভালো।
চানাচুর জাতীয় মুখরোচক খাবার
আমরা চানাচুর , ঝুড়িভাজা , চিড়েভাজা কে না খাই। মুড়ির পাশাপাশি এসব জিনিস ও দোকানে দিতে পারলে বেশ ভালো লাভ করা যায় খুব বেশি মূলধন জোগাড় না করেই।
চটের ব্যাগ
প্লাস্টিক পরিবেশকে ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাই এখন অনেক জায়গাতেই চটের ব্যাগ ব্যবহার করার উপর জোড় দিচ্ছে। অনেকে নিজের এছাতেও এই সব হরেক রকম ব্যাগ গুলো কিনে থাকে। তাই এর চাহিদা বাড়ছেই কমছে না।
ফুলদানি তৈরী
ফুলের পাশাপাশি ফুলদানির উপরেও মানুষের আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায়। মেলা বা দোকান থেকেও অনেকেই এইসব জিনিস গুলি ক্রয় করে থাকেন।
বড়ি উৎপাদন
ঝোল থেকে ঝাল বড়ি কিসে চলে না। প্যাকেট জাত খাদ্যবস্তু হলেও মানুষ দোকানে বড়ির সন্ধান করেই থাকে। আর তুমি যদি বড়ি তৈরিতে সিদ্ধ হস্ত হও লেগে পড়ো।
পাটের পুতুল
পাট এমনিতে দেখতে ভালো না হলেও যখন পুতুল তৈরী করা হয় এর রূপ অসাধারণ আর দূর থেকে মানুষ এসেও এসব জিনিস ক্রয় করেন তাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে বলে।
পেন্সিল বাক্স
কাপড় হোক বা কাঠ পেন্সিল বাক্স ছোটবেলার খুব এ প্রিয় একটা জিনিস। শুধু পেন বা পেন্সিল নয় বিভিন্ন রকম ছোট ছোট জিনিস রাখার জন্যে পেন্সিল বাক্স অনেকেই ব্যবহার করেই। তুমিও চেষ্টা করতে পারো নতুন কিছু তৈরী করার।
শঙ্খের সৌখিন দ্রব্য
শঙ্খ যদিও দামি জিনিস কিন্তু এর কদর বাঙালির কাছে অপরিসীম। বিবাহিত মহিলারা হাতে শাঁখার পাশাপাশি পুজোতে শাঁখ বা শঙ্খ এবং ছোট ঘর সাজানোর জেনিসেও শঙ্খ ব্যবহার করেন।
বিভিন্ন রকমের মসলার গুঁড়া
মসলা রান্নার সময় কে না ব্যবহার করে। তবে দোকানের কেমিকাল মেশানো মসলার থেকে অনেকে চান ফ্রেশ মসলার গুঁড়ো তরকারিতে ব্যবহার করার জন্যে আর অনেক মানুষ মেলাতে এসব জিনিস বিক্রিও করেন। ছোট থেকে বোরো বিভিন্ন রকম প্যাকেট করে তুমি এগুলো বিক্রি করতে পারো।
গোল্ড প্লেটেড জুয়েলারি
গোল্ডেন জুয়েলারি যেহুতু বাইরে পড়া যাই না তাই অনেক মহিলাই গোল্ডপ্লেটেড জুয়েলারি পড়েন। সুন্দর ডিসাইন অনেক মানুষকেই প্রলুব্ধ করে সেগুলো কিনে নিজেদেরকে সাজাতে। তুমিও যদি এই বিষয়ে ইন্টারেস্টেড থাকো শুরু করতে পারো।
জামাকাপড় বানানো
ছিট্ কিনে কাপড় তৈরী করা বা তৈরী করা কোনো ড্রেস ডিসাইন করা দুটো থেকেই বেশ ইনকাম করা যায়। সারাবছর ধরেই মানুষ এখন জামাকাপড় কেনেন।কোনো ব্যাক্তির সাহায্যে এগুলো বিক্রি করতে পারলে দেখবে আস্তে আস্তে তোমার ছোট্ট ব্যবসা বড়ো হয়ে উঠেছে ।
ভাজা খাওয়ার উপকরণ
প্যাকেটে করে এসব ভাজা জাতীয় জিনিসগুলো বিক্রি করা হয়। শুধুমাত্র তেলে ভেজে কোন ঝামেলা ছাড়া এগুলো খাওয়া যায় বলে অনেকেই এই মুখরোচক জিনিসগুলো কিনে আনেন। বিভিন্ন রকমের ডিজাইন আর রঙিন শেপ অনেকেই ভালোবাসেন।
সোলার মুকুট এবং ফুল
সোলার মুকুট বিবাহের কাজে আবশ্যক। পুজোর কাজেও সোলার তৈরী ফুল, মালা এগুলো দরকার হয়। ঘর সাজানো বা প্যান্ডেলের কাজ সর্বত্রই শোলা বেশ জনপ্রিয়। যেহুতু অনেকদিন ভালো থাকে এবং দামেও কম তাই মানুষ এগুলো বেশ আনন্দের সাথেই ব্যবহার করেন।
এছাড়াও তুমি যেগুলো করতে পারো তার কিছু উদাহরণ
- কাঠের বাঁশি
- কাঠের খেলনা
- বেলন চাকি তৈরী
- শাঁখা তৈরী এবং ডিসাইন করা
- উলের হাতে বোনা সোয়েটার
- স্যান্ডেল তৈরী
- গামছা ও শাড়ি বোনা
- একতারা ও কাঠের ডুগি তবলা
- মাটির প্রদীপ
- তুলোর সলতে
- কাঠের চামচ ও বাটি
- কাঠের ধূপদানি
- হাতে তৈরী ফটোফ্রেম
- ছোট বড়ো হাতব্যাগ
- ক্রিস্টালের ব্যাগ বা ফুলদানি
- শাড়িতে নকশা করা
- বেতের বোনা টুল এবং ঘর সাজানোর দ্রব্যাদি
- পুঁথির সাহায্যে জামাকাপড়ে ডিসাইন করা
- ফেলে দেয়া জিনিস থেকে ছোট ছোট জিনিস বানানো
- লাইট ল্যাম্প তৈরী
- কাগজের কাপ প্লেট
- পেন তৈরী করা
- চুলের ক্লিপ ও সাজানোর জিনিস
- মাশরুম চাষ
- সোনপাপড়ি তৈরী
- বিবাহ বা অন্যান্য কাজের তত্ত্ব প্লেট তৈরী
আশা করি এই আইডিয়া বা ধারণা গুলো তোমাদের জীবনে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। অনেকেই চাকরির পাশাপাশি সাইড বিজনেস করতে চান। তারাও এই গুলি দেখে কোনোটায় নিজেদের নিযুক্ত করতে পারেন। আবার পড়াশোনার পাশাপাশি বা বাড়ির নিত্তনৈমিত্তিক কাজের পাশাপাশি মহিলারা এসব কাজে অনেক সময় যোগদান করেন। আর যদি এখনো কি করবেন ভাবছেন আর দেরি কিসের ? এগুলোর মধ্যে যেটা তোমার জন্য সবথেকে উপযুক্ত একটু ভেবে নিন তারপর শুরু করে দিন।