আঠালো পণ্যের প্রকারগুলি এবং কীভাবে তাদের অনলাইনে প্রচার করা যায়
বর্তমান সময়ে তুমি যে দিকেই তাকেবে কাগজ, কাঠ, প্লাস্টিক, লোহা সব দিকেই দিকেই জোরা লাগানো বা ফিটিংস এর কাজ দেখতে পাবে। এক কথায় বলতে গেলে শুধু মাটি বাদে সবকিছুতেই জোড়া লাগাতে আঠা বা এডেসিভ এর ব্যপোক ব্যবহার হয়ে থাকে। শুধু শহরেই নয় আজকাল গ্রামেও নিত্য দিনের কাজে খুব সহজ সমাধান বয়ে নিয়ে আসছে এই পণ্যটি। তাই তুমি যদি কোন ছোট শহর বা জেলা ধরেও তোমার এই ব্যবসাটি শুরু করো তবে তুমি খুব সহজেই ভালো করতে পারবে। যে সকল ব্যবসায় কম পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক লাভ করা যায় তার মধ্য আঠার ব্যবসা অন্যতম। এজন্য তুমি চাইলে খুব সহজেই এই ব্যবসা শুরু করে একজন ভালো উদ্যগক্তা বনে যেতে পারো।
কত ধরনের বা প্রকারের আঠা রয়েছে?
আজকাল সকল কিছুতেই আঠার ব্যভার লক্ষনীয় তাই ব্যবহার অনুযায়ী আঠার ধরনো আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তাই আসো দেখে নেই তুমি ব্যবহারের উপরে ভিত্তি করে আঠার প্রকারভেদগুলিঃ
হোয়াইট ক্রাফট আঠাঃ
সাধারণত এটি এমন একটি আঠা যেটি সবথেকে বেশী ব্যবহীত হয়ে থাকে। কাগজ, পিচবোর্ড, কাপড় এবং বাচ্চাদের কাগজের বিভিন্ন উপকরণ গড়ে তুলতে এই ধরনের আঠা বেশী ব্যবহিত হয়ে থাকে। এই আঠাটি কোন কিছুতে ব্যবহার করতে হলে তোমাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে যে সব পণ্যে ব্যবহিত হচ্ছে সেগুলো জল থেকে যেনো বিরত থাকে।
এই আঠা সকল রকম কাগজ জড়া বা কাগোজ জাতীয় পণ্য জোড়া লাগাতে ব্যবহিত হয়। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও যে সব জায়গায় কাগজের বিস্তার ব্যবহার রয়েছে সে সব জায়গায় এই আঠা বেশী দরকার হয়। তাই তুমিও চাইলে এই আঠা নিয়ে ব্যবসা করতে পারো।
ইয়লো উড আঠাঃ
এই আঠা ক্রাফট আঠার মতই ভিনায়েল অ্যাসিটেট পলিমার দিয়ে তৈরী। এটি কাঠের কাজে ব্যবহার করার জন্য বিশেষ ভাবে উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এটি কাঠকে আরও ভালোভাবে জোড়া লাগাতে এবং মজবুত করে ধরে রাখতে পারে। যাইহোক, তিন ধরনের কাঠের আঠা পাওয়া যায়ঃ
১। জল নিরোধক কাঠের আঠা।
২। এই ধরনের আঠা গুলো বাহ্যিক কাজে ব্যবহার করার জন্য আরও বেশী উপযুক্ত। এই আঠা গুলো সাধারণত দীর্ঘ সময় খোলা রাখলেও কোন অসুবিধে হয় না এবং ঠান্ডা তাপমাত্রায় কাঠ জোড়া লাগাতে সাহায্য করে থাকে।
৩। এ জাতীয় আঠা জল প্রতিরোধী নয় এবং এটাকে কেবল ভেতরে ব্যবহার করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অভ্যন্তরীণ কাঠের কাজ করার জন্য বেশ ভালো।
সুপার গাম
এই গাম বা আঠা জলরোধী এবং সায়ানোআরকিলেট নামেও বেশ পরিচিত। এটি প্লাস্টিক জোড়া লাগানোর কাজে বহুল ব্যবহিত হয়ে থাকে। এছাড়াও, কাঠ, সিরামিক, চামড়া এমনকি কাঁচ খুব শক্ত করে জড়া লাগিয়ে দেয়। এই আঠা কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে কএক মিনিটের মধ্যে যে কোন কিছু খুব দ্রুত জোড়া লাগেতে পারে।
গরম আঠাঃ
এই জাতীয় আঠা সাধারণত আঠার বন্দুক দিয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি কারুশিল্পের জন্য সবথেকে বেশী ব্যবহার হয়ে থাকে, এমনকি কোন ছোট খাটো বস্তু জোরা লাগাতে বা অপূর্ণ জায়গা ভরাট করতে এই আঠার বিকল্প নাই। তবে এটি শিশুদের জন্য ব্যবহারের না করাই ভালো।
চাপ সংবেদনশীল আঠা (পিএসএ):
পিএসএগুলি শীট এবং ডটগুলিতে পাওয়া যায় এবং হালকা ওজনের কাগজ, প্লাস্টিক, ধাতু এবং গ্লাসের মতো স্তরগুলিকে জোড়া লাগানোর জন্য প্রচুর কারুকাজ বা ছোট কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্প্রে আঠাঃ
এই আঠা কাগজ, বোর্ড, কাপড়, ফটো এবং এ জাতীয় জিনিসগুলো জোড়া লাগানোর কাজে ব্যবহিত হয়ে থাকে। এছাড়াও বড় কোন ধরনের কাজে এই আঠা রোল করেও ব্যবহার করা যায়।
ফ্যাব্রিক আঠাঃ
এই আঠা যে কোন ধরনের হালকা থেকে মোটা যে কোন ধরনের কাপড়ের কাজে বহুল ব্যবহিত হয়ে থাকে। আবার এটি চামড়ার কাজেও ব্যবহিত হয়।
পলিথিউরিনঃ
পলিথিউরিন এমন এক জাতীয় আঠা যা বহুমুখী কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। টেক্সটাইল ফাইবার, ধাতু, প্লাস্টিক, কাচ, বালু, সিরামিক, রাবার এবং কাঠের কাজে ব্যবহিত হয়। পলিউরিন বিভিন্ন ধরণের কাঠের প্রজাতিগুলিতে ভাল কাজ করতে পারে, বিশেষত উচ্চ আর্দ্রতার পরিমাণযুক্ত কাঠগুলিতে বা তৈলাক্ত কাঠগুলিতে, যেখানে অন্যান্য আঠালো সফল হয় না।
আঠার স্টিকঃ
এই আঠার লাঠি বাচ্চাদের জন্য দুর্দান্ত! এগুলি স্বল্প কাজের জন্য জোড়া লাগানোর কাজে ব্যবহিত আঠালো। তবে কার্ডবোর্ড, ফোম বোর্ড এবং পোস্টার বোর্ড এর কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের কাগজে স্থায়ী জোড়া লাগায়। এই আঠালো শুকনো এবং পরিষ্কার হয়ে থাকে। সিলিং খামগুলিতে, লেবেল প্রয়োগ করা, কাগজ ক্র্যাফটিং, আর্ট প্রকল্পগুলি, স্ক্র্যাপবুকিং ইত্যাদিতে এটি বহুল ব্যবাহার হয়ে থাকে।
অনলাইন প্রচার কিভাব করবে?
আজ তোমাদের বলবো কিছু উপায় সম্পর্কে কিভাবে তোমাদের এই পণ্য বিক্রয় বাড়াতে অনলাইনে প্রচার করবে। তোমার নিজের ব্যবসার পণ্য বা কোনো বা অন্য কারোর পণ্য তুমি বিক্রয় করতে চাইলে এই লেখার এর সম্পূর্ণ বিষয় মেনে চলো। আশাকরি তাতে তোমার পণ্যের প্রচার-প্রসার ও পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে।
অনলাইন এ পণ্য বিক্রয় এর ২ টি উপায় আছে
১) ফ্রি উপায়
২) পেইড উপায়
১) ফ্রি উপায়ঃ
১) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: তোমারর পণ্য বা সেবা বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করো। সোশ্যাল মিডিয়া তে অনেক ভিসিটর আছে। বেশি বেশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার ফলে তোমার পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে।
২) ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ: ফেইসবুক গ্রুপ ও পেজ তৈরী করে এক দিকে মেম্বার বাড়াবে অন্য দিকে তোমার পণ্য সম্পর্কে টিউন করবে। এভাবে তোমার পণ্য প্রচার-প্রসার করতে পারো।
৩) বরো বরো ফেইসবুক গ্রুপ এ টিউন: তোমার প্রোডাক্ট রিলেটেড গ্রুপ এ জয়েন করে টিউন করতে পারো এতে ওই গ্রুপ এ যদি ৫ লাখ বা ১০ লাখ মেম্বার থাকে তবে তারা তোমার টিউন দেখতে পারে।
৪) ক্লাসিফাইড ওয়েবসাইট এ টিউন: অনেক ক্লাসিফাইড ওয়েবসাইট যেমন :Bikroy Ads আছে যেখানে সহজে ও ফ্রি তে তোমার পণ্য টিউন দিতে পারো। এইসব ওয়েবসাইট এ প্রচুর ক্রেতা ভিসিট করে ফলে এই সব ওয়েবসাইট এ তোমার পণ্য বা সেবা টিউন করলে বিক্রয় হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি।
এতক্ষন তো ফ্রি উপায়ে তোমার আঠালো পণ্যের বিজ্ঞাপণ ও প্রচার প্রসার কিভাবে কবে টা জেনে নিলে এখন আসো এ সম্পর্কে পেইড উপায় গুলো দেখে নেওয়া যাক।
২) পেইড উপায়ঃ
১) ওয়েবসাইট তৈরীঃ তোমার পণ্য এর জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারো যেখান থেকে তুমি দীর্য সময় পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে পারবে।
২) ফেইসবুক বুস্টঃ টাকা খরচ করে ফেইসবুক পেজ এ বুস্ট দিতে পারো এতে করে তোমার পণ্য বা সেবা টার্গেট ক্রেতা এর কাছে খুব দ্রুত পৌঁছাবে।
৩) বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনঃ ফেইসবুক বুস্ট এর পাশা পাশি অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এ পেইড বিজ্ঞাপণ দিতে পারো এতে ও তোমার পণ্য বিক্রয় বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে।
৪) ডিজিটাল মার্কেটিং তোমাআর পণ্য বা সেবা ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারো এতেও তোমার পণ্য বা সেবার অনেক বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে এবং সবথেকে বেশী গ্রাহক তোমার আথালো পণ্যের বিষয়ে জানবে।
যাইহোক তোমার আঠার বিজ্ঞাপণ যদি তুমি ডিজিটাল মাধ্যম বা অনলাইনে প্রচার করে খুব ভালো পরিমাণ গ্রাহক অর্জন করতে পারবে। এতে করে তোমার ব্যবসা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি তুমিও একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে খুব তারাতারি প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।